সিনিয়র রিপোর্টার : কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে গত ৭ আগস্ট আদালত সুমাইয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৬ আগস্ট রাতে ডিবির একটি দল জাফরিনকে আটক করে ।
জানা যায়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।
তারা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। এ ঘটনায় ১৩ জুলাই ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক জ্যোতির্ময় মন্ডল বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন। সুমাইয়ার স্বামী আ. লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেয়। স্বামীর সঙ্গে সুমাইয়াও প্রশিক্ষণে অংশ নিতেন।