| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

বিমানের ৭৪১ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় বিচারপতিসহ ৩ জনের জামিন

  • আপডেট টাইম: 12-11-2025 ইং
  • 18012 বার পঠিত
বিমানের ৭৪১ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় বিচারপতিসহ ৩ জনের জামিন

রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ মিসরীয় বিমান ভাড়ায় এনে সরকারের ৭৪১ কোটি টাকা ক্ষতির মামলায় সাবেক বিচারপতি এ এফ এ মেসবাহ উদ্দিনসহ তিন জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১২ নভেম্বর) আসামিপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। 

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নেন আদালত। ওইদিন পলাতক থাকায় সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ ছাড়া ১৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এরপর আজ আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনজন জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। জামিন পাওয়া অপর দুজন হলেন- পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক পরিচালক ফজলে কবির। 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার, সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ।

জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এসএ সিদ্দিক), সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, সাবেক এয়ারক্রাফট মেকানিক বর্তমানে প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার (অব.) মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক ইন্সপেক্টর অব এয়ারক্রাফট গোলাম সারওয়ার, সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (অ্যারোস্পেস/এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন ও সাবেক সহকারী পরিচালক (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) মো. আব্দুল কাদির।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল মারা যান। পরে অধিকতর তদন্তে আরও সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ৭৪১ কোটি টাকা।

রিপোর্টার্স২৪/আরকে

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪