রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমরা সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরুতে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং জামায়াত ক্ষমতা পেলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না।আগামী নির্বাচন হবে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। সবার মতপ্রকাশের নির্বাচন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহের বলেন, এদেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ দেখবে। যেখানে কোনো সন্ত্রাস থাকবে না, কোনো দুর্নীতি থাকবে না। আমাকে গ্রেপ্তারের পর বারবার চেষ্টা করেও কোনো দুর্নীতি পায়নি। পরে দুদক স্বীকার করেছে, তথ্যগত মিসগাইডের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ এমপি ছিলেন, দুইজন মন্ত্রী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বৃহত্তম দল ছিল। সেই বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি। আর জনপ্রিয় হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এর প্রমাণ ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছে।
গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. ইউসুফ মেম্বারের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিন।উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মন্জুর আহমেদ সাকির অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আইয়ুব আলী ফরায়েজী, সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা জামায়াতের আমির মাও. মোহাম্মদ ইব্রাহীম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সৈয়দ একরামুল হক হারুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা মেশকাত উদ্দিন সেলিম, শিবিরের কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সাবেক অফিস সম্পাদক আবু সাঈদ মজুমদার, গুনবতী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল হাই, শ্রীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা নুরুজ্জামান খোকন, কনকাপৈত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার, জগন্নাথদীঘি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, কালিকাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন, হেফাজতে ইসলাম গুনবতীর আমীর মাও. নিজাম উদ্দিন, গুনবতী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি আবদুর রাজ্জাক শাহীন, বিপ্লব চন্দ্র দাস, গুনবতীর শহীদ সাহাব উদ্দিনের পিতা আবদুল হক, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হামলায় দুচোখ হারানো শিবির কর্মী জহির উদ্দিন।
রিপোর্টার্স২৪/এসসি