স্টাফ রিপোর্টার: এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তাই খাতা চ্যালেঞ্জেও রেকর্ড হয়েছে।
দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার দুই লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছেন। তাদের অনেকে একাধিক বিষয়ের খাতাও চ্যালেঞ্জ করেছেন। মোট চার লাখ ২৮ হাজার খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন।
এদিকে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে। বোর্ডটিতে এক লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে বরিশাল বোর্ডে। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
ঢাকা: এ বোর্ডের ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৬৬ হাজার ১৫০ জন, যা থেকে জমা পড়েছে মোট এক লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি বিষয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন।
কুমিল্লা: দ্বিতীয় সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২২ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী ৪২ হাজার ৪৪টি খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন।
চট্টগ্রাম: এ বোর্ডে ২২ হাজার ৫৯৫ জন মোট ৪৬ হাজার ১৪৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন।
রাজশাহী: আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৯২৪ জন। তাদের চ্যালেঞ্জকৃত খাতার পরিমাণ ৩৬ হাজার ১০২টি।
যশোর: এ বোর্ডে ২০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী ৩৬ হাজার ২০৫টি বিষয়ে আবেদন করেছেন।
দিনাজপুর: আবেদনকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৩১৮ জন এবং খাতার সংখ্যা ২৯ হাজার ২৯৭টি।
ময়মনসিংহ: এ বোর্ডে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৫৯৮ জন, খাতার সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৩৬টি।
সিলেট: এ বোর্ডে আবেদন করেছেন ১৩ হাজার ৪৪ জন শিক্ষার্থী। খাতার সংখ্যা ২৩ হাজার ৮২টি।
কারিগরি: কারিগরি বোর্ডে আবেদন করেছেন ১২ হাজার ৭ জন। তাদের খাতার সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৭৮টি।
মাদরাসা: এ বোর্ডে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৯১৬ জন শিক্ষার্থী। মোট ১৪ হাজার ৭৩৩টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণ চেয়ে আবেদন করেছেন তারা।
বরিশাল: এ বোর্ডে আবেদনকারীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। মাত্র ৮ হাজার ১১ জন শিক্ষার্থী, মোট আবেদনপত্র ১৭ হাজার ৪৮৯টি।
গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।
রিপোর্টার্স২৪/ধ্রুব