রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ রোববার (৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের ২৩ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে, মামলার ১৩তম দিনে সিআইডির দুই ফরেনসিক কর্মকর্তা-রোকনুজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স-ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। তারা এ মামলায় উদ্ধার করা আলামত ও ডিজিটাল প্রমাণ যাচাই-বাছাইয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জবানবন্দি শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর ট্রাইব্যুনাল আরও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে। ওইদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন গাজী এমএইচ তামিম ও ফারুক আহাম্মদ।
এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ৯ অক্টোবর। মামলার ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মামলার আট আসামির মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার ও চারজন পলাতক।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন, মো. নাসিরুল ইসলাম।
পলাতক আসামিরা হলেন- ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
গত ১৪ জুলাই পলাতক চারজনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, চানখাঁরপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।
রিপোর্টার্স২৪/আরকে