ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই, এমন দাবি করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনি দায়িত্বে না দেওয়ার কথা বলেছে—এই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতের কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা নেই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সাক্ষাৎ করেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।
গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ধারণ না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিণতি ফ্যাসিবাদী হাসিনার চাইতেও খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
জামায়াত ইসলামী’র সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের সমঝোতা হলে জামায়াত ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) খুলনায় ইসলামী ছাত্র শিবির আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা ৩০০ আসন চূড়ান্ত করেছি, প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেছে, তবে যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করবো, যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যে কয়টি দলের সঙ্গেই হোক, কিছু সিট তো আমাদের ছাড়া লাগবে, তা নাহলে তো ঐক্য হবে না।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটার একটা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন কালো টাকা ও দখলদারমুক্ত,অস্ত্র মুক্ত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাইলে পি আর পদ্ধতি হলো একমাত্র সমাধান। আমরা বড় কি ছোট দল বুঝিনা যারা যে কোনো দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেণ তারা সকলেই আমাদের দেশের সম্পদ।
পিআর পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় ধাপে অক্টোবর মাসে ১২ দিনের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আওয়ামী লীগ ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
মুক্তিযুদ্ধ না মানলে বাংলাদেশকে তো অস্বীকার করা হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভরাডুবি এবং জাকসু নির্বাচনে ভোট বর্জন সংগঠনের দুর্বল সাংগঠনিক চিত্র ফুটে উঠেছে। এর সাথে সংগঠনটির অভিভাবক বিএনপির নীতিনিধারকদের চিন্তা ও কৌশল নিধারণে চরম ব্যর্থতার প্রমাণিত সত্যে পরিণত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী ইলেকশন চায়, সিলেকশন চায় না, মেনেও নিবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকারের নির্বাচনের রোডম্যাপকে শুধু একটি দল স্বাগত জানিয়েছে। গণতন্ত্রকামী দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো স্বাগত জানায়নি, জানাতে পারেনি। কারণ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের সংস্কার, সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি।
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে আনুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। খবর বিবিসি বাংলা'র।
পরিবেশের কথা বলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ থেকে বিরত থাকার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে হরণ করেছিল। এ কারণেই দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। এখন ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সংস্কার নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের অবস্থানকে দ্বিমুখী ও আত্মঘাতী উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, তারা মুখে সংস্কার মানে, কথায় কথায় প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু সেই সংস্কারকে আইনগত ভিত্তি দিতে চায় না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধতা না থাকে, তাহলে তা কীভাবে কার্যকর হবে?