হেলথ ডেস্ক : আবহাওয়া বদলাচ্ছে। কখনও ঠান্ডা, আবার কখনও গরম। এই সময়টাতেই জ্বর, সর্দিকাশির প্রকোপ বাড়ে। মৌসুম বদলের এই সময়ে সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ভোগায় ছোটদের। বিশেষ করে টনসিলাইটিস, ফ্যারেনজাইটিসের মতো সমস্যা বাড়ে। সর্দি-কাশি সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়া বিপজ্জনক। ছোটদের জন্য এমন ওষুধ সুরক্ষিত নয়। তার উপরে কাশির সিরাপেও ক্ষতির আশঙ্কা আছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কাশির সিরাপে এমন কিছু রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে যা লিভার, কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তাই ওষুধের বদলে ঘরোয়া কী কী উপায়ে সর্দি-কাশি সারতে পারে, তা জেনে রাখা ভাল।
সর্দি-কাশিতে শিশুকে কী খাওয়াতে পারেন মায়েরা?
আদা-হলুদের কাড়া
১ কাপ পানি, ১ ইঞ্চির মতো আদা, আধ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো বা কাঁচা হলুদের ছোট টুকরো, ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু নিয়ে নিন। এক কাপ পানিতে হলুদগুঁড়ো বা কাঁচা হলুদের টুকরো এবং আদা দিয়ে ভাল করে ফোটান। ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিন। এ বার তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খুদেকে খাওয়াতে পারেন।
হলুদ মেশানো দুধ
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চিমটে হলুদ ফেলে দিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারে। হলুদে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সংক্রামক অসুখবিসুখ সারাতে পারে।
গাজর-বিন-ধনেপাতার স্যুপ
গলাব্যথা হলে এই স্যুপ খাওয়ালে আরাম পাবে শিশু। কড়াইতে সামান্য সাদা তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি দিয়ে মিনিট পাঁচেক ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে ধনেপাতাকুচি ও ছোট ছোট গাজর ও বিন্সের টুকরো দিয়ে দিন। ১ মিনিট ভাল করে নাড়ুন। এ বার গরম পানি দিন। গাজর, বিন সেদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। হালকা আঁচেই রান্না হতে দিন। ধনেপাতা একটু কুচিয়ে নিয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন। সামান্য গোলমরিচ ছড়িয়ে দিন।
পুদিনার চা
১ কাপ পানি, ৫-৬টি পুদিনার পাতা, ১ চামচ মধু, অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস নিতে হবে। এক কাপ পানি ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। পানি ফুটতে শুরু করলে তাতে পুদিনা পাতাগুলি দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। ৭-১০ মিনিট ভাল করে ফুটলে পানি ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। শুকনো কাশিতে গলাব্যথা, টনসিলের ব্যথা কমাতে পুদিনার চা খুবই কার্যকর।
রিপোর্টার্স২৪/এমবি