| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

জুলাই গণহত্যা মামলায় হাসিনা-কামালের রায়ের দিন নির্ধারণ আজ

  • আপডেট টাইম: 13-11-2025 ইং
  • 16384 বার পঠিত
জুলাই গণহত্যা মামলায় হাসিনা-কামালের রায়ের দিন নির্ধারণ আজ

রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন নির্ধারণ করা হবে আজ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায়ের দিন ঘোষণা করবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ২৩ অক্টোবর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি যুক্তি তুলে ধরেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের বিচার যেমন হয়েছে, তেমনি শেখ হাসিনা ও কামালেরও সর্বোচ্চ দণ্ড হওয়া উচিত।

এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আসামিপক্ষের কিছু যুক্তির জবাব দেন। পাল্টা বক্তব্য দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আজকের দিনকে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই এ মামলার রায় প্রকাশিত হতে পারে। এতে জুলাই গণহত্যা বিষয়ে দেশের প্রথম কোনো রায় শুনবে জাতি।

এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি ছিলেন। তবে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন তার শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে, আর তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ খালাস চেয়েছেন। মামলার রায় ঘোষণার দিনই জানা যাবে—তিনি হাসবেন নাকি হতাশ হবেন।

শেখ হাসিনার মামলায় মোট ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। চলতি বছরের ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর শেষ হয় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা গ্রহণের মাধ্যমে। এরপর প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক ২৩ অক্টোবর সম্পন্ন হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুল হত্যাকাণ্ড এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মামলার আনুষ্ঠানিক নথি আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা দালিলিক প্রমাণ এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায় শহীদদের তালিকা।

গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা মামলার প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয়।

এদিকে, শেখ হাসিনার রায় ঘিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ কর্মসূচি দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আগুন, ককটেল ও সহিংসতার চেষ্টা চালাচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তবে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তারা কোনোভাবেই অনিরাপদ বোধ করছে না। কারণ, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ট্রাইব্যুনাল এলাকা ও সংবেদনশীল স্থানে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী, যাতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলা করা যায়।


রিপোর্টার্স২৪/ঝুম

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪