রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ১৫ মাস পর নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তাকে ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে কোপেনহেগেনে ইতোমধ্যে সম্মতির (অ্যাগ্রিমেন্ট) জন্য নোট পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু ডেনমার্ক সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার অপেক্ষা। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী এবং তার বোন হুসনা সিদ্দিকীকেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। আলোচনায় থাকা নামগুলোর মধ্যে লুতফে সিদ্দিকী চান সিঙ্গাপুরে, আর হুসনা সিদ্দিকী চান নেদারল্যান্ডসের হেগে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিতে। তবে এসব নিয়োগ এখনো আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক ফাইলওয়ার্ক শুরু হয়নি।
সূত্র জানায়, শিগগিরই বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি মিশনে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের পদ শূন্য হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর, হেগ, থিম্পু, ইয়াঙ্গুন ও তেহরান।
তবে এই আলোচিত নিয়োগগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, সব যোগ্যতা পূরণ করেও পেশাদার কূটনীতিকরা দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিংয়ের অপেক্ষায় আছেন, অথচ কূটনীতিতে ক্যারিয়ার না থাকা ব্যক্তিরা রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আলোচনায় থাকা লুতফে ও হুসনা সিদ্দিকীর বাবা আবু ইয়াহইয়া বুরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী শেখ হাসিনার আগের আমলে পুলিশের আইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রিপোর্টার্স২৪/আরকে