রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও উত্তর দিক থেকে বইছে হিমেল বাতাস, যার ফলে ভোর থেকেই জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ, এবং বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১০–১১ কিলোমিটার। গত কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশার ঘনত্ব কম থাকলেও হিমেল হাওয়া শীত অনুভব আরও বৃদ্ধি করছে। দিনে রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়েছে, ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গতকাল বুধবার তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেড়ে গেছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা মোড়ানো সকালের দৃশ্য। উত্তরের দিক থেকে বইছে ঠান্ডা বাতাস, তাই রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি কম। কেউ প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন, কেউ হাঁটছেন শরীর গরম রাখতে।
সদর উপজেলার চাকলাহাট এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, রাত থেকে হিমেল হাওয়া বইছে। সকালে ধান কাটতে গিয়ে হাত জমে যাচ্ছিল। তবে রোদ উঠলে আরাম লাগে।
শিক্ষার্থী লাকি আক্তার বলেন, সকালে স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছিল। গরম কাপড় পরে বের হয়েছি। কুয়াশা না থাকলেও বাতাসে খুব ঠান্ডা লাগছিল। গলেহাহাট এলাকার দিনমজুর নুর ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। রোদ থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়।
এদিকে, হাটবাজারে কম্বল, সোয়েটার ও মাফলার বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের দোকান ও অফিসেও গরম পানীয়ের চাহিদা বেড়েছে। তালমা এলাকার ফাহিম ইসলাম বলেন, সকাল-বিকেল কাজ করতে কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই পঞ্চগড়ের প্রকৃত সৌন্দর্য—ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার সকাল।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, “উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করছে। এর প্রভাবে তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। দিনে সূর্যের তেজ থাকলেও রাতে তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যাচ্ছে, তাই সকাল-বিকেলে শীত অনুভূত হচ্ছে।”
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম