| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ এখন ৭৯.৬১ মার্কিন ডলার

  • আপডেট টাইম: 16-11-2025 ইং
  • 692 বার পঠিত
বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ এখন ৭৯.৬১ মার্কিন ডলার
ছবির ক্যাপশন: ছবি: সংগৃহীত

আশিস গুপ্ত : ব্রাজিলের বেলেম শহরে কপ ৩০ সম্মেলন মঞ্চে কোয়ালিশন ফর ডিসাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিডিআরআই) তাদের বার্ষিক রিপোর্ট 'সিডিআরআই২৫' প্রকাশ করেছে। 

প্রকাশিত রিপোর্টের সূচকে বাংলাদেশকে “উচ্চ ঝুঁকি” শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে দেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ১০০-এর মধ্যে ৬৫.৩৭। জলবায়ু–জনিত বিপর্যয়ের আর্থিক ক্ষতি সামলানোর সক্ষমতা, ঋণের বোঝা এবং অভিযোজন ব্যয়ের ব্যবধান, এই সবকিছুর সম্মিলিত মূল্যায়নেই এমন অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে। 

রিপোর্টে  বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ এখন ৭৯.৬১ মার্কিন ডলার, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গড় ২৩.১২ ডলারের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি।এই অসমতা শুধু আর্থিক চাপই বাড়াচ্ছে না, বরং ভবিষ্যতের জলবায়ু নীতি নির্ধারণেও গুরুতর প্রভাব ফেলছে।

রিপোর্টে উঠে এসেছে যে ঋণ-থেকে-অনুদান অনুপাতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে অসম রাষ্ট্রগুলির একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে জলবায়ু খাতে প্রতিটি অনুদানের বিপরীতে ২.৭০ ডলার ঋণ নিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থায়নের কাঠামো পরিবর্তিত না হলে এ প্রবণতা আরও গভীর হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ “খুব উচ্চ ঝুঁকি” শ্রেণিতে পৌঁছে যেতে পারে। এতে দেশের জলবায়ু সহনশীলতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঋণপরিশোধের চাপ ব্যাপকভাবে বাড়বে।

২০২৩ সালের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫৫টি জলবায়ু–দুর্বল দেশ সম্মিলিতভাবে জলবায়ু পদক্ষেপের জন্য ৩৩.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে, কিন্তু একই সময়ে তাদের ঋণদাতাদের কাছে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪৭.১৭ বিলিয়ন ডলার। ফলে জলবায়ু সুরক্ষার জন্য প্রাপ্ত অর্থের তুলনায় ১৩.৪৩ বিলিয়ন ডলার বেশি অর্থ ঋণপরিশোধে ব্যয় হয়েছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের চাপ সামলানোতে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়, তারাই আবার ঋণের জালে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত এ অবস্থা আরও উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে “মানবিক ও আর্থ-সামাজিক সংকটের বহুগুণে বেড়ে ওঠা হুমকি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ওয়াইপিএসএ)–র পরিচালক এবং CANSA বাংলাদেশ-এর চেয়ার মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মতো দেশের ক্ষেত্রে জলবায়ু ঋণের বোঝা মানে জীবিকা হারানো, অভিবাসন বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্যের আরও অবনতি। যখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জাতীয় সক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন জরুরি বৈশ্বিক পদক্ষেপ এবং ন্যায্য জলবায়ু অর্থায়ন ছাড়া একটি ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে উঠছে।”

রিপোর্টার্স২৪/এসসি

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪