রিপোর্টার্স২৪ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকার বিমানবন্দরের কাছে দুটি তাজা বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে, যা দেশের চলমান পরিস্থিতির উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার ( ১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশীয় যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার আগে রাজধানীসহ সারা দেশ ইতোমধ্যেই কয়েক দিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় অস্থির হয়ে পড়েছে।
ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে এসব বিস্ফোরণ রাজধানীবাসীর উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ছাত্র আন্দোলনের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচারাধীন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। গত বছর আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি ভারতে পালিয়ে যান।
রায়ের আগে ঢাকা জুড়ে হামলার মাত্রা তীব্রভাবে বেড়েছে। শুধু ১২ নভেম্বরেই ৩২টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়, এবং রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় ডজনখানেক বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
পুলিশ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ দলের বেশ কিছু কর্মীকে বিস্ফোরণ ও নাশকতার অভিযোগে আটক করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখাকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের একটি পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪০০-রও বেশি সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, চেকপোস্টগুলো শক্তিশালী করা হয়েছে, এবং জনসমাবেশ কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে।
রিপোর্টার্স২৪/ এসসি