রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ নির্মূল হলেও সামাজিক ফ্যাসিবাদ এখনো রয়ে গেছে। সাইবার বুলিং শুধু আইনি কাঠামোর মাধ্যমে দূর করা সম্ভব নয়; সামাজিক নেগোসিয়েশন, সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেও এর সমাধান খুঁজতে হবে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিস অডিটরিয়ামে ‘উইমেন ইন ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পলিটিক্যাল সেটলমেন্ট বদল না হলে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। যারা একসময় মজলুম ছিলেন, তারা এখন জালিম হয়ে উঠছেন এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘সরকার নয়, একটি পরিষদ’ বলে উল্লেখ করার সমালোচনা করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আরও বলেন, এই সরকার সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থনেই গঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নতুন প্রশাসন গঠনের আগের প্রথম আট মাস সরকারকে নানা আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ঈদের পর পুরনো প্রশাসন আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানের কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দোদুল্যমান অবস্থার মধ্যে পড়ে একদিকে হেলে গেলে আরেকদিকে হেলে যায়”মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সফলতা যেমন জনগণের, ব্যর্থতাও তেমনি তাদের, যাদের ওপর ভরসা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাই সবার ভূমিকাই সমন্বিতভাবে মূল্যায়নের দাবি রাখে।
নারী নিরাপত্তা ও সাইবার বুলিং ইস্যুতে মাহফুজ আলম বলেন, সাইবার বুলিং ও সামাজিক ট্যাবু জমাটবদ্ধ চিন্তার প্রতিফলন। এসব সমস্যার মূলে রাজনৈতিক কারণও রয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, রাষ্ট্র ও সমাজকে আলাদা করে যে ফ্যাসিবাদী শাসন একসময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারই ক্ষোভ আজ সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।
রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি।
রিপোর্টার্স২৪/এসসি