| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

চট্টগ্রামে আমদানি করা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা, খালাস বন্ধ

  • আপডেট টাইম: 10-08-2025 ইং
  • 389816 বার পঠিত
চট্টগ্রামে আমদানি করা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা, খালাস বন্ধ

রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক :
ব্রাজিলের মানাউস থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা স্ক্র্যাপ লোহার একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তার উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই কনটেইনার খালাসের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। বন্দরের তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণে স্থাপন করা ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেমে’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে আসা কনটেইনারের তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তের জন্য আমেরিকান একটি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেম' চালু আছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেটিতে আমদানি করা কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা থাকার বিষয়টি শনাক্ত করা যায়। 

শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিকর পদার্থ। এটি সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে এলে বা গলিয়ে কোনো পণ্য প্রস্তুত করে ব্যবহার করা হলে মানব স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে। বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট ব্রাজিলের মানাউস বন্দর থেকে কনটেইনার বোঝাই জাহাজটি পানামা, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার পৃথক বন্দর ঘুরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) ৭ নম্বর জেটিতে ‘এমভি মাউন্ট ক্যামেরন’ নামের জাহাজ থেকে কনটেইনারটি নামানো হয়। কনটেইনারটি আমদানি করে ঢাকার ডেমরার লোহা তৈরির কম্পানি ‘আল আকসা স্টিল লিমিটেড’। প্রতিষ্ঠানটি ব্রাজিল থেকে ৫ কনটেইনার স্ক্র্যাপ লোহা আমদানি করে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান বলেন, কনটেইনারটি নিরীক্ষার সময় তেজস্ক্রিয় উপাদান থাকার বিষয়ে অ্যালার্ম পাওয়া গেছে।

এরপর আমরা কনটেইনার ডেলিভারি বন্ধ রাখি। পরে এটিকে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদের পরীক্ষার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে পরমাণু শক্তি কমিশনকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের কর্মকর্তারা এসে পরীক্ষা করে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নিরূপণ করবেন।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, একটি কনটেইনার খালাসের আগে রেডিয়েশন সেন্সরে সংকেত পাওয়া গেছে। সেকারণে সেটি আপাতত আটক রাখা হয়েছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের পরীক্ষার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া কনটেইনারে প্রথম তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয় ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল।  এরপর ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট চীনে রপ্তানি হওয়ার সময় জিংক অক্সাইডের একটি চালানে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পুরনো লোহার পণ্যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল। এই পুরনো লোহা আনা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি থেকে। চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপ এই লোহা আমদানি করেছিল। তিন ধাপে পরীক্ষা করে কনটেইনারের ভেতরে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছিল বিজ্ঞানীরা।


রিপোর্টার্স২৪/এসএন

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪