| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৯

  • আপডেট টাইম: 15-11-2025 ইং
  • 3300 বার পঠিত
জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৯
ছবির ক্যাপশন: জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৯

রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : ভারতের কাশ্মীর উপত্যকায় আবারও ভয়াবহ বিপর্যয়। শ্রীনগরের নওগাম থানায় জব্দ করা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পরীক্ষা করার সময় রাতে ঘটে ভয়ানক বিস্ফোরণ। এতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন, আর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন। নিহতদের অধিকাংশই পুলিশের সদস্য, ফরেনসিক টিমের কর্মকর্তা এবং শ্রীনগর প্রশাসনের দুজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। থানায় সম্প্রতি হরিয়ানার ফারিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা কয়েক টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ অন্যান্য বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। কর্মকর্তারা তা পরীক্ষা ও স্থানান্তর করার সময় হঠাৎ ভয়াবহ শব্দে বিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই থানা চত্বর কেঁপে ওঠে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ঘটনাস্থলের ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতালে এবং শের-ই-কাশ্মির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণের পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানার পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। প্রাথমিক ধারণা—বিস্ফোরকগুলো নড়াচড়া বা খোলা অবস্থায় ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

জঙ্গি চক্র উন্মোচন থেকেই শুরু ঘটনার সূত্র নওগাম থানা সম্প্রতি জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রচারণামূলক পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার তদন্ত করছিল। নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলার হুমকি দেওয়া এসব পোস্টার লাগানোর সঙ্গে যুক্ত ছিল উচ্চশিক্ষিত কিছু ব্যক্তিযাদের ‘সন্ত্রাসী ডাক্তার’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। তদন্তে বেরিয়ে আসে একটি গোপন নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে জব্দ হয় বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক।

গত অক্টোবর মাসে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শনাক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হন আহমেদ রাথর, আনন্তনাগ মেডিকেল কলেজের সাবেক কর্মী। তাঁর লকার থেকেও উদ্ধার হয় একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। রাথরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে আরেক নাম মুজাম্মিল শাকিল, যিনি আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। তার বাসা ও সংশ্লিষ্ট স্থানে যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় প্রায় ৩,০০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।

পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক চিকিৎসক শাহীন সাঈদও গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনা থেকে একদিন পরই দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৩ জন এবং আহত হন আরও অন্তত ২০ জন। পরে তদন্তে উঠে আসে আরেক সন্দেহভাজন চিকিৎসকের নাম—উমর নবি, যিনি বিস্ফোরকবোঝাই হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে এনআইএ নিশ্চিত করে।

তদন্তকারীদের দাবি ভয় ও তাড়াহুড়োর কারণে সন্দেহভাজনরা আইইডি সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে পারেনি। তাই বিস্ফোরণটি পরিকল্পনার তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি ঘটালেও, বড় হামলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এই ঘটনায় নতুন করে চরম সতর্ক অবস্থান নিয়েছে এবং জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত আরও ব্যক্তিদের সন্ধান চলছে।


রিপোর্টার্স২৪/ঝুম

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪