রিয়াজুল হক : একশত টাকা ইনভেস্ট করলে দুইশত টাকা পাবেন। হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম কিংবা অন্য কোন অ্যাপে এরকম টেক্সট পেলেন।
ভাবলেন, একশত টাকা! এ আর এমন কী? পাঠালেন একশত টাকা। সাথে সাথে দুইশত টাকা পেয়ে গেলেন।
এরপর এক হাজার টাকা পেমেন্ট করলেন। সাথে সাথে দুই হাজার টাকা পেয়ে গেলেন।
ভাবলেন, ভালোই তো। কোন কিছু করা লাগেনা। যা দেই, ডাবল ফেরত আসে। এরপর পাঁচ হাজার টাকা দিলেন, দশ হাজার টাকা পেয়ে গেলেন। পঁচিশ হাজার টাকা দিলেন, পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়ে গেলেন।
এক বেপরোয়া লোভের মধ্যে আপনি আটকে গেলেন। কাউকে জানাচ্ছেন না। কারণ এত লাভের কথা অন্য কাউকে জানালে সেও অতি লাভবান হওয়া শুরু করবে।
এরপর এক লাখ টাকাও দিলেন কিছু সময় পর দেখলেন দুই লাখ টাকা পেয়ে গেছেন।
বাহ! জীবনে আর কী দরকার। এরপর আর ২/৪ লাখ না করে, ধারদেনা করে একেবারে ৩০ লাখ টাকা পাঠালেন। এখনই আপনি ডাবল পরিমাণ টাকা পেয়ে যাবেন। অপেক্ষায় আছেন ৬০ লাখ টাকা চলে আসবে। কিন্তু সেই টাকা আর আসে না। সময় চলে যাচ্ছে। প্রথমে কপালে একটু ঘাম জমতে শুরু করেছে। এরপর আপনার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে, শীতের মধ্যে শরীর ঘামছে।
কিন্তু আর কখনোই সেই ৬০ লাখ টাকা আসেনি।এরপর যা হবার তাই হলো। আপনি খোলস থেকে বের হলেন। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানানো শুরু করলেন। বলা শুরু করলেন যে, সরল বিশ্বাসে আপনার সর্বস্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে।
কী ভাবছেন, এটা গল্প! না এটা গল্প নয়। সত্যি ঘটনা। অতি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
একবার ভাবুন তো! আসলেই কি আপনি সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়েছিলেন নাকি লোভের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন? অতি লোভ কমান। অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। না হলে যা আছে সেসবও হারাতে হবে।
লেখক : রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।