| বঙ্গাব্দ
Space For Advertisement
ad728

স্ক্রিন মিরর যেভাবে ঝুঁকি তৈরি করছে

  • আপডেট টাইম: 08-09-2025 ইং
  • 308562 বার পঠিত
স্ক্রিন মিরর যেভাবে ঝুঁকি তৈরি করছে
ছবির ক্যাপশন: স্ক্রিন মিরর যেভাবে ঝুঁকি তৈরি করছে

রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : সাইবার জগতে নতুন করে আলোচিত অপরাধ এখন স্ক্রিন মিরর প্রতারণা। সবাই তো প্রতিদিন আয়না ব্যবহার করি। কিন্তু সেই আয়না থেকে যদি হয় আয়নাবাজি! কী অবাক হয়েছেন। ঘটনা কিন্তু একেবারে সত্যি। নিমেষে সেই আয়না যে কারও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছাড়াও করতে পারে ডিজিটাল ক্ষতি। স্ক্রিন মিরর বিষয়টি অনেকটা এমনই।

সবাই এখন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ বা তথ্য বিনিময়ে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে কয়েকটি বিশেষ অ্যাপের ওপর। যার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ অন্যতম। নতুন ধারার এমন প্রতারণার কৌশলকে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্ক্রিন মিররিং ফ্রড। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিন অনেকটা আয়নার মতো দূর থেকে পড়ে ফেলতে পারবে সাইবার প্রতারক। আর সে সুযোগে আক্রান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নিতে পারে বড় অঙ্কের অর্থ। শুধু তাই নয়; ল্যাপটপ, পিসি বা স্মার্ট ডিভাইস থেকে গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে টার্গেট হতে পারে ব্ল্যাকমেইলের শিকার।

কীভাবে হয় এই প্রতারণা

ব্যাংক-বীমা, টেলিকম বা এমন আর্থিক ঘরানার যে কোনো পরিষেবা সংস্থার গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের পরিচয়ে টার্গেটকে ফোনকল করা চক্রটির প্রথম কাজ। তারা ফোনকলে গ্রাহককে বলতে পারে, তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা স্থানীয় অপারেটর পরিষেবার কোনো সমস্যার কারণে তাঁকে ফোন দেওয়া হয়েছে। আর সেই সমস্যা তারা দূর থেকেই সমাধান করে দিতে পারবে। এ জন্য কোনো বাড়তি খরচ গুনতে হবে না।

বাড়িতে থেকেই যদি এমন পরিষেবা পাওয়া যায়, তাহলে গ্রাহক তাতে অবশ্যই আগ্রহী হবেন। বিশেষত যেখানে কোনো ওটিপি বা কোনো জরুরি তথ্য চাইছে না– এমন পরিষেবা নিতে পিছিয়ে যাবে না অনেকে।

কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় এমন ফাঁদে ধরা দেওয়া মাত্র। অনেক সময়েই কোনো গ্যাজেট বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্যার কথা বলে ফোনের ওপার থেকে গ্রাহককে বলা হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপে কল করতে। যেহেতু গ্রাহককে এ ক্ষেত্রে রিমোট অ্যাপ ডাউনলোড করতে হচ্ছে না, তাই সন্দেহ তৈরি হয় না কোনোভাবে।

তখন হোয়াটসঅ্যাপে কল করার পরে প্রতারক সাধারণত গ্রাহককে বলে স্ক্রিন শেয়ার করতে। আর গ্রাহক সেই অপশন সক্রিয় করা মাত্রই প্রতারকরা টার্গেটের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের অ্যাকসেস নিয়ে দ্রুত প্রবেশ করে। তার সূত্র ধরে টার্গেটের গ্যাজেটে থাকা সব ধরনের তথ্য, ছবি সবকিছুই তারা কপি করে নিতে পারে মুহূর্তেই। আবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পলিসির টাকা পেমেন্টের নাম করে ফোন করে থাকলে এবং কোনো কারণে হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিন শেয়ারিং অপশন সচল করে দিলে ঘটবে বিপদ। কারণ, ওই গ্যাজেটে আসা ওটিপি বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের তথ্য হাতিয়ে তারা অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করে ফেলে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে আবার তারা স্ক্রিন শেয়ারিং সূত্র ধরে টার্গেটের গ্যাজেটে কি-বোর্ড লগার বা কি-লগার জাতীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে। তখন ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে কী টাইপ করছেন, তাও প্রতারক নিমেষে পড়ে নিতে পারবে। ফলে ওই গ্যাজেটের সব ধরনের তথ্যই প্রতারক চক্রের হাতে তাৎক্ষণিক পৌঁছে যাবে।

অনেক ব্যাংক কর্তৃপক্ষই তাদের ই-লেনদেনের জন্য সিকিউরিটি ফিচার্স নিয়মিত আপডেট করে। কিন্তু সুরক্ষায় সামান্য ফাঁক থাকলেই এমন অভিনব ধারার প্রতারণা চক্রের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন যে কেউ।

সুরক্ষা যেভাবে

সুরক্ষার জন্য তাই পরামর্শ, গ্রাহক যেন হোয়াটসঅ্যাপ কলে খুব পরিচিত বা বিশ্বস্ত নন এমন কাউকে স্ক্রিন শেয়ার অপশনে যুক্ত না করেন। সন্দেহ হয় এমন প্রতারক চক্রের ফোনকল ধরে ফেললে কলের মধ্যেই তাৎক্ষণিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সেটিংস অপশনে অ্যাপ ইনস্টলেশন ফ্রম আননোন সোর্সেস অপশনটি সক্রিয় করতে হবে। সন্দেহজনক নম্বর থেকে কল এলে তাৎক্ষণিক তা ব্লক করতে হবে। পরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।


রিপোর্টার্স২৪/ঝুম

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

ad728
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ রিপোর্টার্স২৪ -সংবাদ রাতদিন সাতদিন | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ জোন ২৪