হেলথ ডেস্ক : কলা থেকে আপেল, পেঁপে—রূপচর্চায় ক্রমশই ফলের কদর বাড়ছে। বাজারচলতি প্রসাধনীর চেয়ে অনেকেই প্রাকৃতিক উপাদানে বেশি ভরসা রাখেন। পুষ্টিবিদেরাও বলেন, রকমারি ফলে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। ত্বক হোক বা চুল, তা ভাল রাখতে হলে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। তাই বেছে নিতে পারেন টাটকা ফল।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অবশ্যই ত্বক এবং চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। তবে সব সময়ে শুধু খেলেই হয় না, বরং এর পাশাপাশি চুলের সঠিক যত্নেরও দরকার হয়। চুলের জেল্লা ফেরাতে রাসায়নিক নয়, ভরসা করতে পারেন ভিটামিন, খনিজে পূর্ণ চেনা ফলেই। রুক্ষ চুল মসৃণ হবে, ফলের মাস্কের গুণে চুল ঝরাও বন্ধ হবে।
আমলকি: ভিটামিন ই, সি এবং খনিজে ভরা আমলকি চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার হয় বহু দিন ধরেই। ভেষজ গুণে ভরপুর ছোট্ট ফলটি। আমলকি কুচিয়ে বেটে নিন বা হামান দিস্তায় মিহি করে পিষে নিন। নারকেল তেলে কারিপাতা ফুটিয়ে নিন। সেই তেল ছেঁকে , বেটে রাখা আমলকির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মেখে নিন। মাসাজ করতে হবে ৫-১০ মিনিট। আধ ঘণ্টা সেটি চুলে রেখে দিন। তার পরে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে মাথার ত্বক এবং চুল ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। মাসে দুই দিন করে ব্যবহার করলেও মাস তিনেকে চুলে বদল আসবে।
পাকা কলা: পাকা কলাও জ়িঙ্ক, পটাশিয়ামের মতো খনিজে ভরপুর যা চুলের বৃদ্ধির জন্য জরুরি। আধখানা পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে মাথায় মাখুন। আধ ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে নিন।
পেঁপের মাস্ক: চুলের জন্য পেঁপেও উপকারী। আধ কাপ পাকা পেঁপে বেটে নিয়ে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং আধ কাপ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মাস্কটি পরিষ্কার চুলে মাখুন। মাথার ত্বক থেকে চুল— সব জায়গায় যেন তা ভাল করে লাগানো হয়। আধ ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে নিন। চুল হবে মোলায়েম।
রিপোর্টার্স ২৪/এমবি