পঞ্চগড় প্রতিনিধি : ফলাফল প্রকাশের পর পঞ্চগড়ে দেখা গেল এক অপ্রত্যাশিত চিত্র—তিনটি কলেজে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেননি এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়। শিক্ষকদের দাবি, বিয়ের পর পড়াশোনায় অনাগ্রহ আর শিক্ষক সংকটই এই ফলাফলের মূল কারণ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, বোদা উপজেলার বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজ—এই তিন প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৪ জন অনুপস্থিত ছিল। মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অংশ নেয় মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে আলহাজ তাজিম উদ্দীন কলেজ থেকে অংশ নেয় ৪ জনের মধ্যে ২ জন, কিন্তু কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সপেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, কলেজের এইচএসসি শাখা ১৪ বছর ধরে এমপিওভুক্ত নয়। চার-পাঁচ বছর ধরে কোনো শিক্ষকও নেই। শিক্ষক সংকটের কারণেই ফল এমন হয়েছে।
আলহাজ তমিজ উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ হাচান আলী বলেন, ‘আমাদের দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, দুজনেরই পাস করার কথা ছিল। আমরা ফলাফল বোর্ড চ্যালেঞ্জ করব।’
বোদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নার্গিস পারভিন মৌসুমী বলেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর প্রায় সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এ জন্য তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেনি।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, ‘ওই তিন কলেজের প্রধানদের শোকজ করা হবে। পাশাপাশি সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করা হবে।’
রিপোর্টার্স২৪/ধ্রুব