রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক : এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে পে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। এই আলোচনায় তারা শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য ১০ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।
প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো
জোটের দাবির মধ্যে মূল বিষয় হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন মূল বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা।
গ্রেডভিত্তিক প্রস্তাবিত বেতন নিম্নরূপ:
গ্রেড-১: ১,৫৬,০০০ টাকা। গ্রেড-২: ১,৪০,০০০ টাকা। গ্রেড-৩: ১,২৫,০০০ টাকা। গ্রেড-৪: ১,১০,০০০ টাকা। গ্রেড-৫: ৯৫,০০০ টাকা। গ্রেড-৬: ৮০,০০০ টাকা। গ্রেড-৭: ৭০,০০০ টাকা। গ্রেড-৮: ৬২,০০০ টাকা। গ্রেড-৯: ৫৫,০০০ টাকা।
গ্রেড-১০: ৫০,০০০ টাকা। গ্রেড-১১: ৪৫,০০০ টাকা। গ্রেড-১২: ৪০,০০০ টাকা। গ্রেড-১৩: ৩৫,০০০ টাকা। গ্রেড-১৪: ৩০,০০০ টাকা।
জোটের প্রস্তাবিত ১০ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো:
প্রারম্ভিক বেতন নবম গ্রেড থেকে প্রদান।
বাড়িভাড়া ভাতা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো মূল বেতনের ৪০–৭০ শতাংশ।
উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা মূল বেতনের সমপরিমাণ।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ।
বিএড আইন বাতিল ও কমিটি প্রথা বিলুপ্ত করা।
অবসর ফান্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ অবসরের ৬ মাসের মধ্যে প্রদান।
শিক্ষক ও কর্মচারীদের রেশন সুবিধা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা।
এছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট বিএড আইন বাতিল, কমিটি প্রথা বিলুপ্ত করা, অবসর ফান্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা অবসরের ৬ মাসের মধ্যে দেওয়া, শিক্ষক/কর্মচারীদের রেশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিনোদন ভাতা ও সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন, অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, মো. মতিউর রহমান, মো. হাবিবুল্লাহ রাজু, মো. শান্ত ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন হেলালী, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. তোফায়েল সরকার, মো. রবিউল ইসলাম, মো. রাসেল মন্ডল ও মো. মাহবুব আলম।
রিপোর্টার্স২৪/আরকে