রিপোর্টার্স২৪ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৪ নভেম্বর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি থাকায় সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি থেকে সরে এসেছে।
সরকার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫০০ ক্লাস্টার ভিত্তিতে সমসংখ্যক সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করেছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-এর সঙ্গে পরামর্শ করে সচিব কমিটি বলেছে, প্রস্তাবনায় পরিকল্পনায় ত্রুটি রয়েছে এবং এত কম সংখ্যক নিয়োগ দিয়ে কার্যকর সুফল পাওয়া যাবে না।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বর্তমানে ৬৫,৫৬৯টি। যদি ক্লাস্টার ভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর করা হয়, তাহলে একজন শিক্ষককে ২০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে দায়িত্ব নিতে হতে পারে,যা নিয়মিত শ্রেণি পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করবে বলে কমিটি মত দিয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে অর্থসংস্থান তৈরি হলে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
এর আগে, গত আগস্টে জারি করা ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা২০২৫’-এ চার ধরনের শিক্ষকের পদ রাখা হয়েছিল; প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা)। যদিও সংশোধিত গেজেটে এখন শুধুই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদের কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া শিশুকাল থেকেই সৃজনশীলতা ও শারীরিক বিকাশের সুযোগ কমিয়ে দিতে পারে।
রিপোর্টার্স২৪/এসসি