রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: লিউকেমিয়া, বা রক্তের ক্যান্সার, শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারের একটি। আমাদের হাড়ের ম্যারোতে স্বাভাবিকভাবে রক্তের কোষ ও প্লেটলেট তৈরি হয়। কিন্তু লিউকেমিয়ায় অম্যাচিউর বা অসম্পূর্ণ সাদা রক্তকোষ (WBC) দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা স্বাভাবিক কোষকে ঠেলে দেয় এবং নানা ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে।
শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়ার সঠিক কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজানা। তবে লক্ষণগুলো শিশুর বয়স ও ক্যান্সারের ধরন অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। ক্রনিক লিউকেমিয়ার লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়, কিন্তু অ্যাকিউট লিউকেমিয়ার লক্ষণ হঠাৎ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এগুলো সাধারণ শিশুর অসুখের সঙ্গে মেলানো যায়, তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
শিশুদের লিউকেমিয়ার সাধারণ লক্ষণসমূহ:
রক্তপাত ও সহজে দাগ পড়া: ছোট চোট বা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার পরও বেশি রক্তপাত হতে পারে। নীলচে দাগ বা ছোট লাল দাগ (পেটিচিয়া) দেখা দিতে পারে।
পেট ব্যথা ও খিদে কম থাকা: লিউকেমিয়ার কোষ লিভার, পেট বা কিডনিতে জমে অঙ্গগুলো বড় হতে পারে। শিশুরা ঠিকমতো খেতে পারবে না, খিদে কম থাকবে এবং ওজন কমতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: থাইমাস গ্রন্থি বা ফুসফুসের নোড ফুলে গেলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। শিশুরা কাশি বা শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারে।
বারবার সংক্রমণ: অম্যাচিউর WBC ঠিকমতো কাজ না করলে শিশু বারবার ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমণ প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিকেও কমে না।
ফোলা অংশ: লিম্ফ নোডে কোষ জমে ফোলাভাব তৈরি করতে পারে। সাধারণ স্থানগুলো হলো বাহু, গলার পাশে, কলারবোনের উপরে ও কোমরের অংশ। কখনো থাইমাস ফোলা হলে মুখ, বাহু ও বুকের রঙ নীলচে-লাল হয়ে যেতে পারে।
হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা: হাড় ও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে নিচের পিঠ বা পায়ে।
রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া): অতিরিক্ত কোষ বৃদ্ধির কারণে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। লক্ষণ হিসেবে ক্লান্তি, ফ্যাকাশে ত্বক ও দ্রুত শ্বাস নেওয়া হতে পারে।
সতর্কতার গুরুত্ব:
শুধু কিছু লক্ষণ দেখা মানেই লিউকেমিয়ার প্রমাণ নয়। শিশুদের লিউকেমিয়ার বিভিন্ন ধরন রয়েছে এবং অনেক ফ্যাক্টর ভবিষ্যৎ প্রভাবিত করে। সময়মতো সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসা ভালো ফলাফল আনতে সাহায্য করে। চিকিৎসার উন্নতির কারণে আজকের দিনে আক্রান্ত শিশুদের জন্য আশা আরও বেশি। সূত্র: হেলথলাইন
রিপোর্টার্স২৪/ঝুম