রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: অফিসের পরিবেশ সুন্দর রাখতে শুধু পরিপাটি সাজসজ্জা বা নিয়মকানুনই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতার সহকর্মীও। কিন্তু বাস্তবে সবার আচরণ একরকম হয় না। কেউ কেউ এমন কথা বা ব্যবহার করেন, যা কর্মস্থলের পরিবেশকে অস্বস্তিকর করে তোলে। ইংরেজিতে এদের বলা হয় ‘টক্সিক কলিগ’-যারা অজান্তেই চারপাশে নেতিবাচকতা ছড়ান।
আপনার কর্মস্থলেও যদি এমন কেউ থাকেন, তাহলে নিজেকে রক্ষার কিছু কার্যকর উপায় জেনে নিন-
১. সীমা নির্ধারণ করুন (Set Boundaries)
টক্সিক সহকর্মীর সঙ্গে পেশাগত দূরত্ব বজায় রাখুন। প্রয়োজনে নম্রভাবে কিন্তু দৃঢ়ভাবে “না” বলুন। তাদের আপনার ব্যক্তিগত জীবনে প্রবেশ করতে দেবেন না। কথোপকথনে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
২. তাদের ড্রামায় জড়াবেন না (Avoid Their Drama)
টক্সিক ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের প্রতিক্রিয়া থেকে শক্তি পায়। আপনি যত বেশি মনোযোগ দেবেন, তারা তত বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। শান্ত ও সংযত থাকুন-গসিপ, তর্ক বা অপ্রয়োজনীয় আলোচনায় জড়াবেন না। আপনার স্থিরতা তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করবে।
৩. সবকিছু নথিভুক্ত রাখুন (Keep Records)
যদি টক্সিক সহকর্মীর আচরণ আপনার কাজ বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে শুরু করে, তবে প্রতিটি ঘটনা, ইমেল বা কথোপকথন লিখিতভাবে সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে বিষয়টি HR বা কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপনের সময় এটি হবে আপনার শক্ত প্রমাণ।
৪. সহায়তা নিন (Seek Support)
বিশ্বস্ত বন্ধু, সহকর্মী বা পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলুন। মানসিক সমর্থন টক্সিক পরিবেশের চাপ কমায় এবং আপনাকে ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন-একাকীত্ব টক্সিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
৫. প্রয়োজনে HR বা কর্তৃপক্ষকে জানান (Report Professionally)
যদি কারও আচরণ পেশাগত সীমা অতিক্রম করে বা অফিস নীতির পরিপন্থী হয়, তাহলে ঘটনাগুলো তথ্যসহ HR বা সিনিয়র কর্তৃপক্ষকে জানান। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া গেলে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশ পুনরুদ্ধার সম্ভব।
অফিসে টক্সিক সহকর্মী থাকা মানেই কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়া নয়। সচেতনতা, আত্মসংযম ও সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়াই হতে পারে আপনার সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরক্ষা।
রিপোর্টার্স২৪/আয়েশা