রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।
পরিষদ জানায়, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অর্থ এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে ১১ তম গ্রেডের নিশ্চয়তা দেওয়ায় আগামীকাল থেকে তারা চলমান আন্দোলন ও সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি এ তথ্য জানিয়েছেন।
খায়রুন নাহার লিপি বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি দশম গ্রেড নিয়ে। এই দাবি আমাদের চলমান থাকবে। দশম গ্রেড থেকে আমরা সরবো না। কিন্তু আমরা আজকে অর্থ সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ সময় মিটিং করেছি। অর্থ ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবতার নিরিখে ১১তম গ্রেড দিতে সম্মত হয়েছেন। যেহেতু প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পেয়েছেন। তাই সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১ গ্রেডকে যুক্তিযুক্ত বলে তারা মনে করেন।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষকদের এটিও একটি যুগান্তকারী ফসল। কারণ আমরা ১২তম গ্রেড নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কিন্তু সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের সুনিশ্চিত করেছে, ১১তম গ্রেড দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা পে কমিশনকে দেবে। তারপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পে-কমিশন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় যতদ্রুত সম্ভব প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
লিপি আরও বলেন, এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য অনেক বড় বিজয়। এটা আমাদের আন্দোলনের অনেক বড় ফসল। ১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তা না পেলে আমরা কোনো ক্রমেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরে যেতাম না। সকলের উপস্থিতিতে মতামতের ভিত্তিতে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে প্রজ্ঞাপন, আমরা হাতে পেয়েছি। তাই আমরা অবশ্যই আগামীকাল থেকে আমাদের চলমান আন্দোলন ও সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাষ্ট্রকে সহায়তা করাও আমাদের দায়িত্ব৷ আমরা আগামীকাল থেকেই শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাব।
রিপোর্টার্স২৪/এসসি