বোহেমিয়
.............................................................................................................................
মৌনতা এক অদ্ভুত সম্মোহন। শোনো।
আড়ালে মানুষ মূলতই মানুষের কথা বলে।বলতে বলতে সেও একদিন মানুষ হয়ে ওঠে।
পরাজিত সময়ের সঙ্গে থেকেও নিশ্চুপ মানুষ।
সে পায়ের পায়চারি ভালোবাসে,হাতের স্বাধীন মুদ্রাকৌশল ভালোবাসে;
স্পর্শের মতোন হিংস্রতা ভালোবাসে। নির্লজ্জ আহবান এড়িয়ে সে মানুষ হয়ে ওঠে।একা মানুষ।
কে যেন কাকে শুনিয়েছিলো নক্ষত্রের গল্প! কুশাশার রাত ছিঁড়ে কারো ছিলো একা বেঁচে থাকার স্বভাব।
কেউ বোঝেনি এতোসব।কিভাবে অন্ধকারে শব্দেরা নম্র হয়ে আসে,বেড়ালের মতো নত হয় পায়ের কাছে...
এ কথা কেউ বলেনি কবিতায়।প্রচণ্ড প্রতারণায় প্রেম কেবলই অনিচ্ছুক বিনোদন।
বোহেমিয়তা ছুঁড়ে ফেলে আলোকোজ্জ্বল জিরাফের মতোন কে যেন বাঁচতে চেয়েছিলো?
একা
....................................................................................................................................................................................................
এইতো বেশ—
একাই গেয়ে চলেছি অসাম্প্রদায়িকতার গান
বাজিয়ে একা একা হাতে পুরোনো একতারা
যারা দিয়েছিলেন বরাভয়,আড়াল হয়েছেন আগেই।
রোদে তাদের ছায়াও পড়ে নেই আর।
তাদের শ্রদ্ধায় কর্কশ গলায় গেয়ে যাই এই সুর।
একাই তো—
দুপুরের খড়তাপে বিতৃষ্ণার ভেতরে চুপচাপ ঝিমিয়ে পড়া
অসুস্থ চোখে ভেসে ওঠে লালন ফকির,কাঙাল হরিনাথ
কিংবা কালেভদ্রে লালনআক্রান্ত রবীন্দ্রনাথের সুর...
মন্দ কী?
গভীর রাতে ফিরে যাওয়া আপন আলোয়
ভাঙা আয়নায় দেখে নিয়ে নিজের মুখ
চুপচাপ গড়িয়ে পড়া শব্দের জ্যোৎস্নায়...
এইতো আছি—
অগ্নিদগ্ধ,
শব্দমগ্ন,
সমস্ত একাকার আমাতেই।