আর আই রফিক
সন্তানের মা-বাবা তুমি হয়ে থাকো যদি,
ওদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখবে নিরবধি।
তুমিই ওদের পিতা-মাতা তুমিই শিক্ষাগুরু,
তোমার কাছেই হবে ওদের শিক্ষাজীবন শুরু।
যতোই শিখুক স্কুল কলেজে কিংবা পুস্তক পড়ে,
তোমার দেয়া শিক্ষাই রাখবে সারাজীবন ধরে।
হয়ো নাকো অতি কঠোর কিংবা অতি নরম,
বন্ধুর মতো থাকবে পাশে দরকারে চোখ গরম।
দিয়ো নাকো টাকা কড়ি কভু শিশুর হাতে,
অপব্যয়ী হবে নাকো ওরা ভবিষ্যতে।
খাওয়া পড়ায় যা প্রয়োজন নিজে কিনে দিয়ো,
দরকার হলে বাজারেতে সঙ্গে করে নিয়ো।
ক্রোধের বশে কভু তাদের শাসন করবে নাকো,
রাগের মাথায় খুন করা হয় সদা মনে রেখো।
ঠাণ্ডা মাথায় করবে শাসন রাগের অভিনয়ে,
মন্দ কাজে এগুবে না রক্তচক্ষুর ভয়ে।
ঝগড়াঝাটি করে যদি অপর শিশুর তরে,
চাপিয়ো না দোষ কখনো পরের শিশুর ঘাড়ে।
পরের গায়ে আঘাত করে তোমার আদর পেলে,
সন্ত্রাসী সে হবেই হবে জীবন কাটবে জেলে।
পরের কিছু আনলে ঘরে খুশী পিতা মাতা,
এই শিশুরাই চোর ডাকাত হয় জ্ঞানী গুণীর কথা।
সত্য বলার সৎসাহসে উৎসাহ দাও তাকে,
সন্তান তোমার মহান হবে শ্রদ্ধা করবে লোকে।
বড় বালাই তেরো চৌদ্দ রাখতে হবে মনে,
এই বয়সেই কাঁচা বাঁশে ধরে কিন্তু ঘুণে।
মিশতে কভু না যায় যেনো দুর্মতি দুর্জনে,
সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে সখ্যতারই টানে।
ধরে যদি দুষ্ট ভাইরাস একবার কৈশোর কালে,
বিদ্যা শিক্ষা চুলোয় দিয়ে ছুটবে শুকর পালে।
এই বয়সে ছেলেমেয়ের যৌবনে দেয় উঁকি,
সব কিছুকেই রঙিন দেখে আসল কিবা মেকি।
লিঙ্গভেদে দূরে রাখো পরস্পরের থেকে,
একটুখানি অবহেলা বিপদ আনে ডেকে।
পাকা বুদ্ধি গজায় শিশুর আঠারো পার হলে,
ভালো মন্দ চিনতে পারে আপন বুদ্ধিবলে।
লেখক: কবি, গল্পকার ও উপন্যাসিক