কামাল বারি; জন্ম : ১৮ জানুয়ারি, ১৯৬৫; প্যারি দাশ রোড, ঢাকা। পৈতৃক নিবাস : ডাঙ্গারপাড়, ভাঙ্গা, ফরিদপুর। বাবা : বারি। মা : জহুরা। নব্বইয়ের দশকে কবিতা লেখা শুরু। লেখা হচ্ছে। তবে প্রকাশ নেই বললেই চলে।কবিতা ছাড়াও লিখছেন- গল্প, গান, প্রবন্ধ, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ক্রিয়েটিভ ফিচার ও রিপোর্ট লিখে থাকেন মাঝে মাঝে। আজও একক কোনও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি।সময় সময় সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশে ব্যস্ত থাকেন। পেশা : সাংবাদিকতা। নেশা : কবিতা। শখ : ভ্রমণ
সকালের সৌরভরা রোদে
বেদনাবিধুর বহু গেয়েছি—
পেয়েছি কি সংবেদনী চোখের দৃষ্টি?
চাপা ক্ষোভ কান্নায় দ্রোহী আগুন হয়েছে—
কেউ কি দেখেছে?
ক্ষরণে ক্ষরণে আপন আয়োজন হনন করেছি
নিজেরই হাতে!
এনেছে কি কেউ বিন্দু ইন্দুছোঁয়া?
বহু শতাব্দী ধরে অসুস্থ মুখের আর্তি দেখেছি—
বহু শতাব্দী ধরে ভোর জেগে দেখলাম—
একই সড়ক ধরে হেঁটে যেতে বহুমুখী বিদ্যালয়গামী শিশুদের...
একই সাথে শ্রমিকের পা...
কুকুর কুণ্ডুলি পাকিয়ে শুয়ে থাকে শ্বেতক্যানভাসে!
পরিচ্ছন্ন-কর্মীরা রাজধানীর নান্দনিকতায়
কীইবা পারে...!
বর্জ্যদানি উপচে পড়ে...!
বাতাস ভারী করে ময়লার গাড়ি উড়ে যায়...!
হায়, সকালের সৌরভরা রোদে আমি তো সমগ্র ফুলের সুরভিত দোল চেয়েছি...!
কতিপয় দৃশ্যের আলোয়
...অনুভবের খোলা আকাশ ছিলো—
দারুণ ঘেঁষে ছিলাম!
তাবৎ উৎসবে
তার সাথে তারার আলোয় উজ্জ্বল হ'তাম...
তার আবেগের গল্প হ'তাম...
আহা, দাঁতে দাঁত চেপে শ্বাসরুদ্ধকর সেকী সঙ্গসুখ!
আরাধ্য পাখির ডানার সেকী আলোড়ন...!
তারপর বহুদিন ভাবনাছুট...
তারাফোটা আনন্দের রাত নেই...
প্রতীক্ষার চোখ নেই...
কাঁপা কাঁপা ঠোঁট নেই...
...তবুও তো ডাক দিয়ে যায়...!
আরও বেশি শীতলতায় থেমে থাকি আমি...
পড়ে থাকি ঘন অন্ধকারে একাকী সময়...!
কতিপয় দৃশ্যের আলোয় দেখি তারে—
শ্বাসকষ্টের মাছের মতো ভেসে আছে শুধু...
গভীরতর নীরবতা কাটে না আর...।