স্পোর্টস ডেস্ক: ১৪২ রানে নবম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদের ছক্কা আর একটি করে ডাবলস ও সিঙ্গেলের সৌজন্যে দেড় শ পেরিয়েছে দলের স্কোর। তাসকিন অবশ্য শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটেছে অলআউট হিসেবে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল শুরুতে উইকেট না হারিয়ে শেষের দিকে ঝড় তোলা। সেই লক্ষ্য সফলও বলা যায়। ১৪ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ হারিয়েছিল মাত্র ২ উইকেট, স্কোরবোর্ডে ছিল ৯৯ রান। কিন্তু ১৫তম ওভারে দলীয় ১০৭ রানে সাইফ হাসান আউট হলে পরের ব্যাটসম্যানেরা শুধু আসা–যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। অন্তত একটি করে উইকেট পড়েছে প্রতি ওভারেই।
তানজিদ ২০তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকায় রানের গতি কিছুটা সচল ছিল। ১২ রানে শেফার্ডের বলে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া তানজিদ শেষ পর্যন্ত একই বোলার–ফিল্ডারদের সৌজন্যে ৮৯ রানে আউট হয়েছেন। এ ছাড়া সাইফের ২৩ বাদে অন্য কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি।
শেফার্ড অবশ্য তানজিদের আগের বলে নুরুল আর পরের বলে শরীফুলকে আউট করে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেছেন।
উইকেট হাতে রেখেও বাংলাদেশ শেষ দিকে বড় সংগ্রহ গড়তে না পারায় হতাশই হওয়ার কথা। আপাতত লক্ষ্য, বোলিংটা ভালো করে সিরিজের ফল ২–১ বানানো।
টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে লিটন দাসের দল। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একটাই লক্ষ্য-হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানো।
বাংলাদেশ একাদশ: সাইফ হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), পারভেজ হোসেন ইমন, নুরুল হাসান, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, অ্যালিক আথানাজ, আকিম অগাস্টে, রস্টন চেজ (অধিনায়ক), আমির জ্যাঙ্গো (উইকেটকিপার), রভম্যান পাওয়েল, জেসন হোল্ডার, রোমারিও শেফার্ড, গুডাকে মোতি, আকিল হোসেন ও খারি পিয়েরে।
রিপোর্টার্স২৪/ধ্রুব