রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক :মিরপুরের টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংস যখন নড়বড়ে, তখনই দৃশ্যপটে উঠে আসেন রিশাদ হোসেন। তিন ছক্কা, তিন চারে ১৪ বলে ৩৯, দুই ওভারের তাণ্ডবেই বদলে দেন ম্যাচের চিত্র। সেই রিশাদকে ব্যাটিংয়ে দেখা গেল না সুপার ওভারে!
বাংলাদেশের ক্রিকেট আঙিনায় বিস্ময়ের ঝড় তো চলছেই। চমকে গেছে এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ক্যারিবিয়ানদের সুপার ওভারের নায়ক আকিল হোসেন অকপটেই বললেন, রিশাদ ব্যাটিংয়ে না নামার ব্যাপারটি পক্ষে গেছে তাদের।
মূল ম্যাচে এই আকিলের করা শেষ ওভারেই ছক্কা ও চার মেরেছিলেন রিশাদ। আগের ওভারে আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুডাকেশ মোটির বলে মেরেছিলেন দুটি ছক্কা ও একটি চার। অথচ বাংলাদেশ সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানকে, এরপর পাঠায় নাজমুল হোসেন শান্তকে।শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। প্রথম বৈধ ডেলিভারির আগেই ওয়াইড-নো হয়ে চার রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তার পরও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিততে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজরা।
ম্যাচের শেষে সংবাদ সম্মেলনে আকিল নিজেদের বিস্ময়ের কথাই বলেছেন।
“হ্যাঁ, আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। যে ছেলেটা ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল—১৪ বলে ৩৯ রান, অপরাজিত—সে সুপার ওভারে নামলই না! ছোট দিকের বাউন্ডারিতে যে দুটো ছক্কা মেরেছিল, সেখানেই তো আবার মারতে পারত। আমরা সবাই আসলে অবাক হয়েছিলাম।”
“ও নামেনি, এটা আমাদের পক্ষেই কাজ করেছে। ও মাত্র কয়েকজনের একজন, যার শক্তি আছে অনেক এবং তার নাগাল অনেক বেশি, কারণ সে লম্বা। সব মিলিয়ে সে ছিল সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটারদের একজন। তারা তাকে পাঠায়নি। সেজন্য কৃতজ্ঞতা।”
রিপোর্টার্স২৪/সোহাগ