রিপোর্টার্স২৪ডেস্ক: সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে আরেকটি বড় জয়ের ভিত গড়েছে নাজমুল শান্তরা। ইনিংস এবং অন্তত ১০০ রানে টেস্ট জয়ের তিনটি রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ২১৫ রানে পিছিয়ে আছে তারা। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে আইরিশরা, প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ২৮৬।
দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড শুরুতে উইকেট হারায়। অধিনায়ক আন্দ্রে বালবির্নির ইনজুরিতে ওপেনিংয়ে নেমে কারমাইকেল ৫ রান করে দলীয় ১৪ রানে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেটে পল র্স্টালিং ও হ্যারি টেক্টর উইকেটে কিছুটা থিতু হবার চেষ্টা করেন। এদের ৪৭ রানের জুটি ভাঙতেই বিপর্যয়ে পড়ে আইরিশরা। র্স্টালিং ৪৩ করে রান আউটে কাটা পড়েন। টেক্টর করেন ১৮ রান। ক্যাম্পার (৯) ও আন্দ্রে বালব্রিনি (৪) ও যথারীতি ব্যার্থ হন।
এর আগে সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ১৪১ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। টেস্টে যা বাংলাদেশের এক ইনিংসে তৃতীয় সর্বাধিক রান। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েলিংটনে ২০১৭ সালে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল টাইগাররা।
বাংলাদেশের দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল শান্ত সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তীরে এসেও নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা জয় থেমেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ১৭১ রান করেছেন। ১৪টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক নাজমুল শান্তর অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংস থামে ১০০ রানে। তার ওয়ানডে স্টাইলে ১১৪ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ছিল।
ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের দিন কাটানোর পরও আছে আক্ষেপ। বাংলাদেশ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে। দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক ফিফটি পেয়েছেন। জয়ও ১৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ডাবল সেঞ্চুরির আশা দিচ্ছিলেন। ৮০ রান করা মুমিনুল হকও ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু দু’জনই তৃতীয় দিন সকালে দুই রান করে যোগ করে ফিরে যান। তার আগে প্রথম দিন আউট হওয়া ওপেনার সাদমান ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। লিটন দাস ৬৬ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন। আইরিশ ক্রিকেটার হামফ্রিস ৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত পেয়েছেন ৫ উইকেট।
রিপোর্টার্স২৪/বাবি